অনামিকার ভাবনা - চৌত্রিশ (34)
শ্রদ্ধাঞ্জলি বঙ্গমাতার প্রতি
আজ শহীদ বঙ্গমাতার ঊননব্বইতম জন্মদিন। শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ছিলেন বাঙালীর স্বাধীনতা আন্দোলন এর নেপথ্য সৈনিকদের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব এবং স্বাধীনতার শ্রেষ্ঠ প্রেরণাদানকারীদের মধ্যে অন্যতম এক দুঃসাহসী মানবী। মাত্র তিন বছর বয়সে তিনি বাবা জহুরুল হককে হারান আর পাঁচ বছর বয়সে হারান মা হোসেনে আরা বেগমকে। তাঁর দেখভাল এর দায়িত্ব ছিল তাঁর দাদার উপরে। প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন তিনি গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে। পরবর্তী পাঠ চলে গৃহশিক্ষকের কাছে। এছাড়াও স্বশিক্ষায় শিক্ষিত এই মহা মানবীর গুনের কোন সীমা পরিসীমা ছিল না।
বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন ও সংগ্রামী জীবনের বেশীরভাগ সময়ই যখন জেলে কেটেছে তখন তিনিই হাল ধরেছিলেন সংসারের এবং সাথে সাথে মামলা পরিচালনার। তিনি জেলখানায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত করতেন এবং দলের কর্মীদের জন্য নিয়ে আসতেন দিক নির্দেশনা।
পাঁচ সন্তানের জননী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এর ডাক নাম ছিল রেনু। গোপালগঞ্জ এর টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯৩০ সালের আট আগস্টে জন্মগ্রহণ করে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে তিনি নিষ্ঠুরভাবে হত্যার শিকার হন স্বামী-সন্তান ও প্রিয়জনদের সাথে। মাত্র ষোল বছর বয়সে মা হওয়া এই জননী পেলেন বঙ্গমাতৃত্বের স্থান। সমগ্র বিশ্ব জ্ঞাত হলো তাঁর শ্রেষ্ঠেত্বর বিষয়ে। আমরা তাঁর এবং তাঁর পরিবার পরিজন সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি । আল্লাহ্তায়ালার যেন তাঁদেরকে বেহেস্তের সর্বোত্তম স্হান নসীব করেন ।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব(রেনু) রেখে গেছেন দেশ পরিচালনার জন্য অমূল্য সম্পদ দেশরত্ন তাঁরই প্রথম সন্তান আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এবং শেখ রেহানাকে। আমরা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার(যিনি সক্রিয়ভাবে দেশের উন্নয়নের দিকে নজর রাখছেন। আমরা তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। সাথে সাথে বাংলাদেশের এবং বাঙালী জাতির সার্বিক কল্যাণ কামনা করছি!!!