অনামিকার ভাবনা - একুশ (21)
সাইপ্রাস
ভৌগলিক অবস্থানের দিক বিবেচনায়
সাইপ্রাস দ্বীপটি ভূমধ্যসাগরের সবচেয়ে পূর্বে অবস্থিত । সাগরের যে অংশে দ্বীপটির অবস্থান সে হিসাব অনুযায়ী দ্বীপটি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে পড়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কারণে দ্বীপটি হয়ে গেছে ইউরোপভূক্ত।
ভূমধ্যসাগরের অবস্থিত দ্বীপগুলির মধ্যে সাইপ্রাস দ্বীপটি আয়তনের দিক থেকে তৃতীয় বৃহৎ। উল্লেখ্য সিসিলিয়েন/সিসিলি হচ্ছে ভূমধ্যসাগরীয় সর্ববৃহৎ দ্বীপটির নাম এবং দ্বিতীয় বৃহৎ দ্বীপটির নাম সারদিনিয়েন/সারদিনেন । সাইপ্রাস দ্বীপটির পূর্বে রয়েছে লেবানন ও সিরিয়া উত্তরে তুরস্ক এবং দক্ষিণে মিশর। ভূমধ্যসাগরের বিশাল জলাধারের পশ্চিম উপত্যকা জুড়ে রয়েছে ইউরোপের গ্রীস, কোরেশিয়া, স্লোভেনিয়া, ইটালি, ফ্রান্স এবং স্পেন।
উল্লেখ্য দ্বীপটির উত্তরাংশ এবং দক্ষিণাংশ দুটি ভাগে বিভক্ত । দ্বীপটির উত্তরাংশ তুরস্কের এবং তুরস্কের শাষনাধীন। সংখ্যাগরিষ্ঠ তুর্কিদের পাশাপাশি বসবাস করছে সংখ্যালঘিষ্ঠ গ্রীখিশ। দক্ষিণাংশ গ্রীস বংশোদ্ভূতদের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের অধিকারভূক্ত। দক্ষিণাংশেও আছে তুরকিশদের বসবাস । যে কারণে সরকার অনুমোদিত দুটি ভাষাই প্রচলিত । একটি গ্রীস ভাষা এবং অন্যটি তুর্কি ভাষা।
সাইপ্রাস দ্বীপের রাজধানীর নাম নিকোসিয়া। এই নিকোসিয়া যেমন দক্ষিণাংশের মূল শহর তেমনি উত্তরাংশেরও। মুদ্রার নাম ইউরো। দক্ষিণাংশের শুধু ইউরো মুদ্রা প্রচলিত । কিন্তু তুরকিশদের উত্তরাংশে ইউরো মুদ্রার পাশাপাশি চলে তারিকশ লিরা। তবে উত্তরাংশে তুরিকশ লিরাই বেশী সচল।
অর্থনৈতিকভাবে পর্যটন শিল্পের উপরে দ্বীপটি নির্ভরশীল। এর মধ্যে সমুদ্র উপকূল ভিত্তিক পর্যটন শিল্পই চাঙ্গা করে রেখেছে অর্থনীতির চাকা । চলছে নিরাপদ কর্মব্যস্ত জীবন, বাড়ছে ক্রমান্বয়ে পর্যটকদের সংখ্যা ।